অনুসন্ধান صفحه اصلی خبر |
|
মতামতজরিপ : |
Monday, November 7, 2016 |
|
নির্বাচিত সংবাদ : |
25079 |
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে ইমাম হাসানের(আ.)পদ্ধতি
চিন্তা ও দর্শন বিভাগ: ইমাম হাসান (আ.) আমিরুল মু'মিনীন (আ.) এর শাহাদাতের পর ১০ বছর যাবত ইমামতের দায়িত্ব পালন করেন এবং ৫০ হিজরীর ৭ অথবা ২৮শে সফর ৪৭ বছর বয়সে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের চক্রান্ত ও নির্দেশে স্ত্রী জো'দা বিনতে আশয়াস বিন কায়েস কর্তৃক বিষপ্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন।
|
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে ইমাম হাসানের(আ.)পদ্ধতি
চিন্তা ও দর্শন বিভাগ: ইমাম হাসান (আ.) আমিরুল মু'মিনীন (আ.) এর শাহাদাতের পর ১০ বছর যাবত ইমামতের দায়িত্ব পালন করেন এবং ৫০ হিজরীর ৭ অথবা ২৮শে সফর ৪৭ বছর বয়সে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের চক্রান্ত ও নির্দেশে স্ত্রী জো'দা বিনতে আশয়াস বিন কায়েস কর্তৃক বিষপ্রয়োগে শাহাদাত বরণ করেন।
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (স.) বলেছেন : যখন আমার সন্তান হাসান মুজতাবাকে বিষ প্রয়োগে শহীদ করা হবে তখন জমীন ও আসমান তার জন্য শোক পালন করবে। জেনে রাখো আমার সন্তান হাসানের জন্য ক্রন্দন ও শোক প্রকাশের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
যে ব্যক্তি তার উপর বয়ে যাওয়া মুসিবতের কথা স্মরণ করে ক্রন্দন করে, যেদিন সকলের চোখ অন্ধ হয়ে যাবে সেদিন তার চোখে দৃষ্টি শক্তি থাকবে এবং যেদিন সকলের অন্তর ভারাক্রান্ত থাকবে সেদিন তার অন্তর সকল দুঃখ-বেদনা হতে মুক্ত থাকবে। আর যে ব্যক্তি (জান্নাতুল) বাকীতে তার কবর যেয়ারত করবে, পুলে সিরাতে যখন সকলের পা নড়বড়ে অবস্থায় থাকবে তখন তার পা থাকবে দৃঢ়।
বর্ণিত হয়েছে যে, যখন বিষ ইমাম হাসান (আ.) এর সমস্ত দেহে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলো এবং তিনি মূমূর্ষ অবস্থা অতিক্রম করছিলেন তখন হঠাত তার চোখ অশ্রুসিক্ত হল। উপস্থিত সকলে জিজ্ঞেস করলেন : হে আল্লাহর রাসূল (স.) এর সন্তান, আল্লাহর নবী (স.) এর নিকট আপনার যে মর্যাদা ও স্থান রয়েছে এবং এত ইবাদত ও আল্লাহর আনুগত্যের পরও এমন মূহুর্তে ক্রন্দন করছেন? তিনি (আ.) বললেন : ‘আমি দু'টি জিনিষের জন্য ক্রন্দন করছি; প্রথম, কেয়ামতের দিনের ভীতির বিষয়ে যা সত্যিই কঠিন দিন। দ্বিতীয়, আমার আত্মীয়-স্বজনদের হতে পৃথক হওয়ার কারণে; এটাও কঠিন কাজ।
জনৈক ব্যক্তি ইমাম হাসান (আ.) এর উদ্দেশ্যে বললেন : আমার একটি বিবাহযোগ্যা কন্যা রয়েছে, কেমন ব্যক্তির সাথে তার বিবাহ দেব? ইমাম হাসান (আ.) বললেন : এমন ব্যক্তির সাথে তার বিয়ে দাও যে তাকাওয়াধারী ও পরেজগার। কেননা তাকওয়াবান ব্যক্তি যদি তাকে ভালবাসে তবে তাকে সম্মান করবে। আর যদি তাকে ভাল নাও বাসে তবে অন্তত তার উপর অত্যাচার করবে না।'
ইমাম হাসান (আ.) বলেছেন : যে কল্যাণের মাঝে কোন মন্দ থাকে তা হল : নেয়ামতের বিপরীতে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা ও বিপর্যয়ের সময় ধৈর্য্যধারণ করা।
586248