অনুসন্ধান صفحه اصلی خبر |
|
মতামতজরিপ : |
Saturday, July 29, 2017 |
|
নির্বাচিত সংবাদ : |
26964 |
দূর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা
আন্তর্জাতিক বিভাগ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পানামাগেইট কেলেংকারির মামলায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের পর নওয়াজ শরীফকে এখন ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
|
দূর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা
আন্তর্জাতিক বিভাগ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পানামাগেইট কেলেংকারির মামলায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ রায়ের পর নওয়াজ শরীফকে এখন ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
তিন সদস্যের প্যানেলের প্রধান হিসেবে বিচারপতি এজাজ আফজাল খান জনাকীর্ণ আদালতে সর্বসম্মতভাবে নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে; অতএব তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হবে।” গত সপ্তাহে পানামাগেইট কেলেংকারি মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল।
পাকিস্তানের ৭০ বছরের ইতিহাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অযোগ্য ঘোষণা করল। এর আগে নওয়াজ শরীফ তার নির্ধারিত মেয়াদ শেষ করার আগে দু বার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। ১৯৯৩ সালে দুর্নীতির দায়ে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট তাকে বরখাস্ত করেন। এছাড়া, ১৯৯৯ সালে সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মুশাররফের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে নওয়াজ ক্ষমতাচ্যুত হন।
আজকের রায়ের সময় আদালত পাকিস্তানের দুর্নীতি-বিরোধী ব্যুরোকে নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির আরো অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
নওয়াজ শরীফ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্ট তথ্য-প্রমাণের নির্দেশ দেয় এবং তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল যে, নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। যে পানামা পেপার্সের সূত্র ধরে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলো সেই পেপার্সে বলা হয়েছে, নওয়াজ পরিবার বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত।
অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজে নিয়োজিত তদন্ত দল বলেছে, শরীফ পরিবারের সম্পদের পরিমাণ তাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এছাড়া, নওয়াজ শরীফের ছেলে-মেয়েদের বিরুদ্ধে বিদেশে সম্পদ বিশেষ করে মেয়ে মারিয়ামের বিরুদ্ধে লন্ডনে ফ্ল্যাট কেনার তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে।
পানামাগেইট কেলেংকারিতে নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্ত হলেও তিনি সবসময় কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে যৌথ তদন্ত কমিটির দেয়া ২৫৪ পৃষ্ঠার রিপোর্টকে পক্ষপাতপূর্ণ ও অপমানজনক বলে অভিহিত করেছিলেন।