অনুসন্ধান صفحه اصلی خبر |
|
মতামতজরিপ : |
Thursday, August 24, 2017 |
|
নির্বাচিত সংবাদ : |
27175 |
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ১লা জিলহজ হচ্ছে মাওলা আলী(আ.) ও মা ফাতিমার বিবাহ বার্ষিকী। এই উপলক্ষে এই দিনকে বিশ্ব বিবাহ দিবস হিসাবে পালন করা হয়। বিবাহ হচ্ছে একটি পবিত্র বন্ধন এর মাধ্যমে একজন নারী আর একজন পুরুষ একসাথে বসবাস করার অনুমতি পায়। যরা প্রকৃত মু’মিনি তারা এর মাধ্যমে একটি সুন্দর ও পাক পবিত্র পরিবার গড়ে তোলে।
এরই একটি বড় নমুনা হচ্ছে শহীদ মোহসেন হোজাজি। তিনি তার পরিবার পরিজন ও স্ত্রী সন্তানকে অনেক ভালবাসতেন। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় তাদেরকে ছেড়ে যেতে তার একটুও কষ্ট হয় নি। আবার তিনি তাদেরকে এমনিই ছেড়ে যান নি তাদেরকে প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত দিক নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন। তারা ২ বছরের ছেলের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আল্লাহ আমাদেরকে মহান উদ্দেম্যে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং তোমার জীবনটাকে মহানবী (সা.) ও আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর আদর্শে গড়ে তুলবে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: বিবাহের উদ্দেশ্য হল প্রজন্মকে রক্ষা করা (যৌন চাহিদা বা দৈহিক চাহিদা একটি উছিলা বা মাধ্যম মাত্র যাতে মানুষ বিবাহের প্রতি ইচ্ছা বা আগ্রহ প্রকাশ করে আর বিবাহের ফলে মানব প্রজন্ম ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।
রাসূল (সা.) বলেছেন:
তিন শ্রেণীর লোক আছে যাদের প্রতি সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালা স্বীয় দায়িত্ব বলে মনে করেন, তাদের মধ্যে একদল হচ্ছে ঐ সব ব্যক্তি যারা পবিত্রতা রক্ষা করে ও পাপকর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বিবাহ করে।
হযরত আলীর (আ.) সাথে হযরত ফাতিমার (সালামুল্লাহ আলাইহা) বিবাহটিও প্রজন্ম রক্ষার উদ্দেশ্যেই হয়েছিল। কিন্তু এ বিবাহের মধ্যে বিশেষ কিছু কৃতিত্ব আছে যেটা অন্যান্য যুগলদের মধ্যে নেই আর তা হচ্ছে বিশ্ব জগতে নিরুপম সন্তানগণ। সে কারণেই ইমাম রেযা (আ.) বলেছেন:
সত্যিই আসমানবাসীরা হযরত ফাতিমা (সা.আ.) ও হযরত আলীর (আ.) বিবাহতে আনন্দিত হয়েছিল ও হযরত ফাতিমা (সা.আ.) হতে দুটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করেছে যারা হচ্ছে বেহেশতের যুবকদের সর্দার এবং এই দুই সন্তানের মাধ্যমে বেহেশতবাসীদেরকে সৌন্দর্য দান করা হয়েছে।
650754