অনুসন্ধান صفحه اصلی خبر |
|
মতামতজরিপ : |
Monday, January 1, 2018 |
|
নির্বাচিত সংবাদ : |
28068 |
ইমাম মাহদীর প্রতি শিশুদের চিঠি
মাহদাভিয়াত বিভাগ: হে ইমাম আপনার প্রতি সালাম নামক গ্রন্থে ইমাম মাহদীর প্রতি শিশুদের লেখার চিঠি সমগ্র একত্রিত করা হয়েছে। শিশুরা তাদের মনের আকুতি জানিয়ে ইমাম মাহদীর কাছে তাদের চিঠিগুলো লিখেছে।
|
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ইমাম মাহদী (আ.)-এর গুপ্তঅবস্থার সময়ে এবং স্বল্পমেয়াদী অদৃশ্য শুরু হওয়ার পূর্বে সর্বশেষ যে কার্য সম্পাদনকরেছিলেন তা হল পিতার জানাযার নামায৷
একাদশ ইমামের খাদেম আবুলআদইয়ান এ সম্পর্কে বলেন:
ইমাম হাসান আসকারী (আ.)জীবনের শেষ সময়ের দিকে আমাকে কিছু চিঠি দিয়ে বললেন: "এগুলোকে মাদায়েনে নিয়ে যাও৷পনের দিন পর ফিরে এসে আমার বাড়িতে রোনা-জারি শুনতে পাবে এবং আমার মৃতদেহ গোসলেরস্থানে দেখবে৷" আমি বললাম: হে আমার মাওলা এমনটি হলে আপনার উত্তরাধিকারী তথা পরবর্তীইমাম কে হবেন? ইমাম বললেন: "যে তোমার কাছে আমার চিঠির উত্তর সম্পর্কে জানতে চাইবেতিনিই পরবর্তী ইমাম হবেন৷" বললাম: আরও কিছু বৈশিষ্ট্য বলুন৷ ইমাম বললেন: "যে আমারজানাযার নামাজ পড়াবেন তিনিই পরবর্তী ইমাম হবেন৷" বললাম: অরও কিছু বৈশিষ্ট্য বলুন৷ইমাম বললেন: "যে এই থলেতে যা আছে সে সম্পর্কে খবর দিবে সেই পরবর্তী ইমাম হবেন৷"কিন্তু ইমাম (আ.)-এর গাম্ভির্য দেখে প্রশ্ন করতে সাহস পেলাম না৷
চিঠিসমূহকে মাদায়েনে নিয়েগেলাম উত্তর নিয়ে ইমামের কথামত পনের দিনের মাথায় সার্মেরাতে ফিরে ইমাম (আ.)-এরবাড়িতে কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম এবং ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর মৃতদেহকে গোসলেরস্থানে দেখতে পেলাম৷ তখন ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর ভাই জাফরকে দেখলাম যে ইমাম(আ.)-এর বাড়িতে দাড়িয়ে আছে এবং কেউ কেউ তাকে শোক বার্তা জানাচেছ এবং ইমাম হিসাবেতাকে মোবারকবাদ জানাচেছ৷ আমি মনে মনে বললাম: এই লোক যদি ইমাম হয় তাহলে ইমামত ধবংসহয়ে যাবে৷ কেননা তাকে আমি চিনতাম সে মদ্য পান করত এবং গানবাজনা করত৷ যেহেতু ইমাম(আ.)-এর বলে যাওয়া আলামতের খোজে ছিলাম তাই আমিও তার কাছে গেলাম এবং অন্যদের মত তাকেশোকবার্তা জানালাম ও মোবারকবাদ জানালাম৷ কিন্তু সে আমাকে চিঠির জবাব সম্পর্কে কিছুইজিজ্ঞাসা করল না৷ তখন আকিদ [ইমাম হাসান আসকারী (আ.)]-এর আর এক খাদেম জাফরকে বলল: হেআমার নেতা আপনার ভ্রাতাকে কাফন করা হয়েছে এসে জানাযার নামায পড়ান৷ আমিও জাফর এবংশিয়া মাযহাবের অন্যান্যদের সাথে ভিতরে গিয়ে দেখলাম যে, ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-কেকাফন পরিয়ে তাবুতে রাখা হয়েছে৷ জাফর নামায পড়ানোর জন্য সামনে গিয়ে তকবির দিতে গেলতখন গৌরবর্ণের একটি শিশু বেরিয়ে এসে জাফরের জামা টেনে ধরে বললেন: হে চাচা সরেদাড়ান আমার পিতার জানাযার নামায পড়ানোর দায়িত্ব আমার উপর ন্যাস্ত হয়েছে৷ জাফরেরচেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল এবং সে পিছনে সরে আসল৷ ছোট্ট শিশু সামনে গিয়ে ইমাম হাসানআসকারী (আ.)-এর জানাযার নামায পড়ালেন৷ অতঃপর তিনি আমাকে বললেন: চিঠির উত্তরগুলোআমাকে দাও৷ আমি চিঠিগুলো তাঁকে দিলাম৷ আমি মনে মনে বললাম এ দুটি নিদর্শনই তো এইছোট্ট বালকের ইমাম হওয়ার নিদর্শন৷ থলের ঘটনাটি বাকি রইল৷ জাফরের কাছে গিয়ে দেখি সেআর্তনাদ করছে৷ একজন শিয়া মাযহাবের অনুসারী তাকে প্রশ্ন করল এই বালকটিকে?
জাফর বলল: আল্লাহর শপথ আমিএ ছেলেটিকে কখনোই দেখিনি এবং তাকে চিনিও না৷
আবুল আদইয়ান আরও বলল: আমরাবসে ছিলাম এমতাবস্থায় কোম থেকে কিছু লোক এসে ইমাম হাসান আসকারী (আ.)-এর সম্পর্কেজানতে চাইল৷ তারা ইমাম (আ.) শহীদ হওয়ার খবর জানতে পেরে বলল: কাকে শোকবার্তা জানাব? জনগণ জাফরের দিকে ইশারা করল৷ তারা জাফরকে সালাম দিয়ে তাকে শোকবার্তা ও মোবারকবাদজানাল৷ অতঃপর তারা জাফরকে বলল: আমাদের কাছে কিছু চিঠি ও উপঢৌকন আছে৷ বলুন চিঠিগুলোকার? এবং কি পরিমাণ উপঢৌকন আছে?
জাফর রেগে গিয়ে দাড়িয়েবলল: আমার কাছে গায়েবী সংবাদ জানতে চাও? তখন ভিতর থেকে একজন খাদেম বেরিযে এসে বলল:ওমুক, ওমুকের চিঠি তোমাদের কাছে আছে এবং তাদের নাম ঠিকানা বলল৷ থলের মধ্যে এক হাজারদিনার আছে এবং দশটির চিহ্ন মুছে গেছে৷ তারা চিঠি এবং দিনারগুলোকে তার কাছে দিয়েবলল: যিনি তোমাকে এগুলো নিতে পাঠিয়েছেন তিনিই হলেন প্রকৃত ইমাম (কামালুদ্দিন, খণ্ড-২, বাব-৪১,হাদীস নং-২৫, পৃ.-২২৩)৷