অনুসন্ধান صفحه اصلی خبر |
|
মতামতজরিপ : |
Thursday, August 23, 2018 |
|
নির্বাচিত সংবাদ : |
29431 |
ত্যাগ ও মহিমার শিক্ষায় উদ্ভাসিত ঈদুল আযহা
মায়ারেফ বিভাগ: ১০ই জিলহজ্ব পবিত্র ঈদুল আযহার দিন। এ দিন আল্লাহর প্রতি হযরত ঈবরাহিমের (আ.) আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশের দিন। এই দিন আল্লাহর প্রতি হযরত ইব্রাহীম(আ.)-এর আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশের জন্য তার সন্তান ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যান।
|
ত্যাগ ও মহিমার শিক্ষায় উদ্ভাসিত ঈদুল আযহা
মায়ারেফ বিভাগ: ১০ই জিলহজ্ব পবিত্র ঈদুল আযহার দিন। এ দিন আল্লাহর প্রতি হযরত ঈবরাহিমের (আ.) আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশের দিন। এই দিন আল্লাহর প্রতি হযরত ইব্রাহীম(আ.)-এর আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশের জন্য তার সন্তান ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যান।
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: কুরবানি ঈদ ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঈদ। এই দিন আল্লাহর প্রতি হযরত ইব্রাহীম(আ.)-এর আনুগত্য ও দাসত্ব প্রকাশের জন্য তার সন্তান ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যান।
মহান আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা ও ইখলাস প্রমাণ করার জন্য হযরত ইব্রাহীম (আ.)তার সন্তান ইসমাইলকে কুরবানি করতে নিয়ে যান এবং ইসমাইলকে তিনি ছুরি দিয়ে জবেহ করতে থাকেন; কিন্তু সে ছুরিতে ইসমাইলের গলা কটে নি। তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি আওয়াজ আসে হে ইব্রাহীম! তুমি এই পরীক্ষাতেও পাশ করেছ, তোমার হাত থামাও।
হযরত জীব্রাইল(আ.) দুম্বা নিয় হাজির হন এবং ইব্রাহীম(আ.) সেই দুম্বাটিকে কুরবানি করেন। এর পর থেকে হজ্জের মৌসুমে মিনায় কুরবানি করার সুন্নত প্রচলিত হয়। আর এটা মুসলমানদের জন্য ঈদ তথা আনন্দের দিন হিসাবে বিবেচিত হয়।
আল্লাহর প্রিয় খালেস বান্দা যেহেতু তার পরীক্ষায় সফল হয়েছেন সেই সুন্নত অনুসারে প্রতি বছর হাজিরা মক্কায় হাজির হয়ে মিনায় কুরবানি করেন।
কুরবানির ঈদের আমলসমূহ:
১। গোসল করা। আল্লামা মাজলিসী বলেছেন, এই দিনে গোসল করা মুস্তাহাব। অনেকে আবার এই দিনের গোসলকে ওয়াজিব বলেছেন। (যাদুল মায়াদ পৃ: ৩১৯)
২। কুরবানি ঈদের নামাজ আদায় করা। মাসূম ইমামের (আ.) অনুপস্থিতিতে এই নামাজ মুস্তাহাব। নামাজটি জামাতের সাথে পড়ার গুরুত্ব খুবই বেশী তবে একাও পড়া যায়।(যাদুল মায়াদ পৃ: ৩১৯)
৩। নামাজের পূর্বে এই দোয়া পড়া মুস্তাহাব:
أللّهُمَّ هذا یَومٌ مُبارَک
(যাদুল মায়াদ পৃ: ৩১৯)
৪। এই দিনে এবং সকল ঈদের দিনে দোয়া নুদবা পাঠ করা মুস্তাহাব।(যাদুল মায়াদ পৃ: ৩২০)
৫। কুরবানি করা মুস্তাহাব এবং অনেক আলেমের মতে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব। কুরবানির দোয়াটি নিম্নরূপ:
وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذى فَطَرَ السَّمواتِ وَ الاْرْضَ، حَنیفاً مُسْلِماً وَ ما أنَا مِنَ الْمُشْرِکینَ إنَّ صَلاتى وَ نُسُکى وَ مَحْیاىَ وَ مَماتى لِلّهِ رَبِّ الْعالَمینَ، لا شَریکَ لَهُ، وَ بِذلِکَ أُمِرْتُ وَ أَنَا مِنَ الْمُسْلِمینَ. اَللّهُمَّ مِنْکَ و لَکَ، بِسْمِ اللّهِ وَ اللّهُ اَکْبَرُ. اَللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنّى.
আর যদি কয়েকজন মিলে কুরবানি করেন অথবা চান অন্যদের উপরও এর সওয়াব বর্তাবে তাহলে আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন্নির (اَللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنّى.)স্থানে বলতে হবে:
اَللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنّا
বিত্তবানদের উচিত এই দিনে কুরবানি করে তার অধিকাংশই গরিবদের মাঝে বিতরণ করা। (যাদুল মায়াদ পৃ: ৩২০)
৬। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন; ইমাম জয়নুল আবেদীন(আ.) ও ইমাম বাকির(আ.) কুরবানি করে এক ভাগ গরিবদের মাঝে বিলাতেন, এক ভাগ আত্মীয়দের দিতেন আর একভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখতেন।(ইকবালুল আমাল পৃ: ৪৫১)
উসুলে কাফি ৪থ খণ্ড, পৃ: ৫১৭, হাদিস-৪)